ঢাকা | বঙ্গাব্দ

‘মার্চ ফর গাজা’য় অংশগ্রহণকারীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা নিয়ে আজহারির পোস্ট

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Apr 11, 2025 ইং
মিজানুর রহমান আজহারি। পুরোনো ছবি ছবির ক্যাপশন: মিজানুর রহমান আজহারি। পুরোনো ছবি
ad728

ইসরায়েলের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে গাজার পক্ষে সরব হয়েছে বাংলাদেশের মানুষ। ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ১২ এপ্রিল পালন করা হবে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি। এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের জন্য কয়েকটি নির্দেশনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার মিজানুর রহমান আজহারি।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ নির্দেশিকা দেন।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন-

সকল শ্রেণী-পেশা-দল-মতের মানুষের অংশগ্রহণে বাংলাদেশের ইতিহাসে আক্ষরিক অর্থেই অভূতপূর্ব এক গণজমায়েতের দ্বারপ্রান্তে আমরা। এই উদ্যোগকে সাফল্যমণ্ডিত করতে কিছু নির্দেশনা আমরা সবাই অনুসরণের চেষ্টা করব বলে অঙ্গীকার করতে চাই।

১. সহযোগিতাপূর্ণ স্বেচ্ছাসেবী মনোভাব রাখব। অনুষ্ঠানটা আমার, একে সফল করার দায়িত্বও আমিই পালন করব—এই সংকল্প নিয়েই ঘর থেকে বের হব।

২. আসার পথ কিংবা মার্চ শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশস্থল আমরা নিজ দায়িত্বে পরিচ্ছন্ন রাখব। পানি, ছাতা, মাস্ক-সহ অন্য ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় জিনিস সাথে রাখব। মেডিকেল ইমার্জেন্সিতে উপস্থিত স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে মেডিকেল টিম এবং অ্যাম্বুলেন্সের সহযোগিতা নেব।

৩. যেকোন পরিস্থিতিতে উত্তেজনা পরিহার করব, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সচেষ্ট হব, অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবকদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।

৪. শান্তিপূর্ণ এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এমন কোনো প্রদর্শনী করব না যা দেশের ভাবমূর্তি নষ্টের কারণ হতে পারে। কোনো দল বা গোষ্ঠীর প্রতীক এড়িয়ে সৃজনশীল ব্যানার, প্ল্যাকার্ড এবং কেবলমাত্র বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহন করার মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করব।

৫. জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধনকে যারা প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাদেরকে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করব। দুষ্কৃতিকারীদেরকে প্রতিরোধে সম্মিলিতভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেব। আর মনে রাখব, জুলুমের প্রতিবাদ আরেক জুলুম দিয়ে করা যায় না।


নিউজটি আপডেট করেছেন : জার্নাল ডেস্ক

কমেন্ট বক্স