লোহাগড়ায় নারী সাংবাদিককে শ্লীলতাহানি ও কুপ্রস্তাব, আদালতে মামলা দায়ের
-
নিউজ প্রকাশের তারিখ :
Apr 22, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন:
মনির খান, স্টাফ রিপোর্টার:
নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা চৌরাস্তায় অবস্থিত “লোহাগড়া রিপোর্টার্স ইউনিটি”-র সাধারণ সম্পাদক এস.এম. আলমগীর কবির ও তার তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে নারী সাংবাদিককে শ্লীলতাহানি ও কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সাংবাদিক রিয়া শারমিন, যিনি উক্ত ইউনিটের মহিলা সম্পাদিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন, তিনি নিজেই এই মামলা দায়ের করেছেন। সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দে, নড়াইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তিনি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ১০/৩০ ধারায় দায়েরকৃত মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে লোহাগড়ার নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত এস.এম. আব্দুর জব্বারের ছেলে এস.এম. আলমগীর কবির (৪৫)। এছাড়া আরও অভিযুক্ত করা হয়েছে চর কালনা গ্রামের আব্বাস উদ্দিন শেখের ছেলে মোঃ আশিকুজ্জামান (২৮), ঝিকড়া গ্রামের মৃত আব্দুর সবুরের ছেলে এনামুল শেখ (৪০), এবং নড়াইল সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মোহাম্মদ শেখের ছেলে শুকুর শেখকে।
লিখিত অভিযোগে সাংবাদিক রিয়া শারমিন উল্লেখ করেন, এস.এম. আলমগীর কবির একজন প্রতারক ও চরিত্রহীন ব্যক্তি, যিনি সাংবাদিকতার আড়ালে নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তিনি দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় অফিস ভাড়া করে নারী স্টাফ নিয়োগের নামে তাদের দিয়ে অসামাজিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছেন। সাংবাদিকতার পরিচয়পত্র ও পদ-পদবি দিয়ে নারীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়াও তার নেশা ও পেশায় পরিণত হয়েছে।
রিয়া শারমিন জানান, ঘটনার কয়েকদিন আগে আলমগীর কবির তাকে লক্ষীপাশার রিপোর্টার্স ইউনিট কার্যালয়ে ডেকে পাঠান এবং নানা ধরনের লোভ দেখিয়ে অনৈতিক প্রস্তাব দেন। তিনি আপত্তি জানালে, তার ক্ষতি করে দেওয়ার হুমকি দেন। এরপর ১৪ এপ্রিল ২০২৫, রাত ৮টার দিকে রিয়া শারমিন অফিসে একা অবস্থান করছিলেন। এ সময় আলমগীর কবির পেছন থেকে এসে তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতে শুরু করেন। তিনি প্রতিরোধ করলে বাকী তিনজন সহযোগী আসামিকে নিয়ে তার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালান। সাংবাদিক রিয়া শারমিন চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ঘটনাস্থলে আসেন, তখন অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
এই ঘটনার পর থেকে রিয়া শারমিন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং কিছুটা সুস্থ বোধ করার পর আইনি আশ্রয় গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন। আদালতে দায়ের করা মামলায় তিনি প্রকৃত বিচারের জন্য আকুল আবেদন জানান।
এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট পিবিআই কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে লোহাগড়া রিপোর্টার্স ইউনিট বা অভিযুক্তদের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : জার্নাল ডেস্ক
কমেন্ট বক্স